জিনের সমস্যা
জিনের সমস্যা মোটা দাগে দুই ধরনের
১। প্রকাশ্য বা বুঝা যায় এমন ২। গোপনীয় বা বুঝা যায় না যে এটা জিনের সমস্যা। প্রথম ধাপ তো সহজ। পেশেন্ট তার পরিবার এবং সম্পৃক্ত সকলে বুঝতে পারে সমস্যা অন্যরকম। তাদের কেউ যায় হুজুর/ কবিরাজের কাছে, কেউ যায় রাকির কাছে, কেউ যায় মানুষিক ডাক্তারের কাছে আবার কেউ ঘরে পড়ে থেকে দুঃসহ জীবন যাপন করে। দ্বিতীয় ধাপ খুব কম্পলিকেটেড এবং এর সংখ্যাই প্রচুর। এমন কোন সিম্পট্রম থাকে না পেশেন্টদের যে তারা জিন দ্বারা আক্রান্ত তা বোঝা যাবে। বরং নানা রকম শারীরিক সমস্যা ফিল করে যার অনেক কিছুই আবার ডাক্তারের পরামর্শ মত চললে সাময়িক ঠিক হয় বা লম্বা সময়ের জন্য ভালো থাকে। কিন্তু ভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া মুড সুইং বা বদমেজাজ থাকে প্রায় ক্ষেত্রেই। প্রচন্ড আবেগী হতে পারে তারা। তাদের মাঝে আবার সুইসাইডাল বা কিলিং বা পার্ভাডাল টেন্ডেন্সি থাকতে পারে। তবে একটা সময় পর তারা এমন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যা খুব রেয়ারলি নিরাময়যোগ্য। এ সময়ই তার ভিতর কিছু জিন পজেসের লক্ষন দেখতে পারেন। মেয়েদের জরায়ু সমস্যা, ছেলেদের যৌন উদ্দীপনার অভাব বা অতিরিক্ততা এবং এগুলোর সাথে ডায়াবেটিকস এর বিপুল যোগাযোগ থাকতে পারে। মস্তিষ্কের তরল শুকিয়ে যাওয়া, লিভার ও হার্টের সমস্যা বিশেষ করে ক্যান্সার এর শেষ স্টেজে দেখা দিতে পারে। যদিও বদনজর, হাসাদ বা যাদুর কারনেও এগুলো হয় কিন্তু আমরা ধারণা করি এগুলোর খাদেম জিনও থাকে প্রায় ক্ষেত্রেই এবং তারা ক্ষতি পৌঁছে দেয়। তাই দ্বিতীয় ধরনের রুগীকে ডিল করা সময় সাপেক্ষ এবং জিন প্রকাশিত হতেও লম্বা সময় লাগতে পারে। এসব রুগীকে নানা ওয়াসওয়াসা দিয়ে শয়তান তার মূল সমস্যা খুজে পাওয়ায় বাধা দিতে পারে। আর এ ধরনের রুগীকে মেডিক্যাল এবং রুকইয়াহ চিকিৎসা সমানতালে করতে হবে। কিছুদিনের মাঝে এরাই সবচেয়ে বেশি গাফেলতি করে, কারণ এদের সমস্যা সাথে সাথে দেখা বা বুঝা যায় না। এরা চোখের দেখায় সুস্থই থাকে এবং ধীরে ধীরে ভয়ংকর পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ রুগীর এক ধরনের জিনের পজেশন থেকে অন্য ধরনের পজেশনে শিফট হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এটা খেয়াল রাখা জরুরী চিকিৎসার জন্য।
No comments