জ্বিনের আছর এবং রুকইয়াহ
জ্বিনের আছর এবং রুকইয়াহ
জ্বিনের আছর দুই প্রকারের হয়ে থাকে। প্রথম প্রকারের সাথে আমরা সবাই পরিচিত হলেও দ্বিতীয় প্রকারের সাথে আমরা একেবারেই অপরিচিত!
(১)যে প্রকার জ্বিনের আসরের সাতে আমরা পরিচিত সচরাচর দেখি জ্বিন যদি আসর করে তাহলে রুগীর মুখ দিয়ে জ্বিন কথা বলবে। পুরো শরীর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিবে জ্বীন কিছুক্ষণের জন্য হতে পারে ঘন্টা বা দিন।
(২) দ্বিতীয় প্রকারটি সম্পর্কে আমরা একবারেই অপরিচিত বলতে গেলে আমরা এই প্রকার জ্বিনের আসর সম্পর্কে ধারণা 'ই রাখি না যাকে অনেকেই hidden জ্বিন অর্থাৎ জ্বীন শরীরের ভিতরে লুকিয়ে থাকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
এই hidden জ্বীন শরীরে থাকার কারণে রুগীর মধ্য আচরণে পরিবর্তন আসে।কখনো কখনো এমন আচরণ করে যা সে বলার না, কখনো কখনো এমন কাজ করে যা তার দ্বারা করা অসম্ভব, মেজাজ গরম হয়ে থাকে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, হঠাৎ করেই অকারণে রেগে যায়, রাগলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ব্যাথা থাকে।মাথা ব্যথা প্রায় লেগে থাকে, রাতে ঘুম কম হয়।সারারাত ঘুমালেও সকালে উঠে মনে হয় ঘুমায়নি সাপ, কুকুর, ভয়ংকর প্রাণী আক্রমণ, নানা টাইপের প্রাণী স্বপ্নে দেখে, এভাবে আরো অনেক আর একের পর এক সমস্যা লেগে থাকে।
এই প্রকার জ্বিন, হতে পারে খাদিমুছ সেহের, আঈন, হাসাদ এর জন্য। এই বিষয়ে কোন অবিজ্ঞ রাকির পরামর্শ নিতে পারেন।
শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় পার্থনা করুন।
(১) বেশিরভাগ সময় ওজু অবস্থায় থাকুন
(২)বাথরুমে যাওয়া আসার দুয়া পাঠ করুন।
(৩)বাড়ি হতে বাহির এবং ঘরে প্রবেশ দোয়া পাঠ করুন।
(৪)খাবারের শুরুতে দোয়া পাঠ করুন।
(৫)মাগরিবের পুর্বে বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করুন।
(৬)ঘুমের পুর্বে ওজু করে ঘুমের দোয়া অন্যান্য দোয়া আমল করে ঘুমান।
(৭)সকাল সন্ধা মাসনুন আমল গুলি গুরুত্ব দিয়ে করুন।
(৮)দৈনিক পাঁচবার ফরজ সালাত আদায় করুন।
(৯)নারীদের ক্ষেত্রে পর্দা করে চলুন।
(১০)হালাল, হারাম মেনে চলুন, গান বাজনা সকল প্রকার মিউজিক হতে দুরে থাকুন ইত্যাদি।
রুকইয়া যেভাবে করবেন।
--প্রথমে দুরুদ পাঠ করুন --
(১)সূরা ফাতেহা,
(২)সুরা বাকারা ১-৫ নং আয়াত,
(৩)সুরা বাকারা ১৬৫ নং আয়াত,
(৪)সূরা বাকারা ২৫৫-২৫৬-২৫৭-২৮৫-২৮৬
এই জায়গায় আয়াতুল কুরসী শেষের অংশ টুকু একাধিকবার পাঠ করুন।
(৫)সূরা মুমিম -১১৫-১১৮ নং আয়াত,
(৬)সূরা সফফাত -১-১০ নং আয়াত,
(৭)সুরা মুলক -৫-৮ নং আয়াত,
(৭)সূরা জ্বিন -১-১০ নং আয়াত
(৮)সূরা বুরুজ,
(৯)সূরা আলাক, ১-৫ নং আয়াত,
(১০)সূরা যিলযাল
(১১)সূরা ফিল,
(১২)সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস
পুনরায় দুরুদ পাঠ করুন।
প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘন্টা বা তার বেশী সময় পাঠ করুন পাশাপাশি সাথে পানি রাখুন আর পানিতে ফু দিন, এই পানি পান করুন ঘরে ছিটান এবং গোসল দিন।
No comments