Header Ads

Mohammad Emamul Hasan

শরীরে জ্বিনের বসবাস আছে কিনা বুঝবেন কিভাবে

 আপনার শরীরে জ্বিন আছে কিনা মিলিয়ে নিন।

আপনার শরীরে জ্বিনের বসবাস আছে কিনা বুঝবেন কিভাবে? এবং শরীরে জ্বিন থাকার লক্ষণ সমুহ। তবে আপনার শরীরের থাকা জ্বিন এটা হতে পারে নজর বা হাসাদের কারণে বা আসিক জ্বিন বা যাদুর জন্য নিয়োজিত জ্বিন। *****প্রথমেই জেনে নেই যদি শরীরে জ্বিনের বসবাস থাকে তাহলে ঘুমন্ত অবস্থায় কি কি সমস্যা হতে পারে। 👉 ঘুমন্ত অবস্থার লক্ষণসমূহ— (১) রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া। (২) হঠাৎ ঘুমের ভিতর লাফিয়ে ওঠা। ৩/ স্বপ্নে কোন প্রাণীকে আক্রমণ করতে দেখা যেমনঃ সাপ, কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, পেঁচা, সিংহ, শিয়াল, ষাড়, বানর,পাখি ইত্যাদি। (৪) ঘুমের মাঝে চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা। (৫) ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটাহাঁটি করা। (৬) স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা। (৭) স্বপ্নে মানুষের আকৃতির মতো ভয়ংকর কাউকে দেখা যেমন- খুবই লম্বা, অনেক খাটো, মিডিয়াম ,অনেক সাদা, অনেক কালো, অথবা কেউ আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে ইত্যাদি। (৮) বোবায় ধরা অর্থাৎ ঘুমের মাঝে কেউ চেপে ধরে- ফলে কথা বলা এবং হাত পা নাড়াচাড়া করতে না পারা। প্রায়ই রাতে এমন ঘটনা ঘটা। (৯) স্বপ্নে গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা কোনো মরুভূমি বা সাগর, নদী ইত্যাদি দেখা। (১০) স্বপ্নে কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে দেখা। (১১) বেশি বেশি স্বপ্নদোষ হওয়া। (১২) স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা। (১৩) কোন বিপদ হলে সেগুলো আগে স্বপ্ন দেখা। এবং পরবর্তীতে সেগুলো বাস্তবায়ন হওয়া। (১৪) স্বপ্নে বিভিন্ন জিনিস খাওয়া। ******এবার জেনে নেওয়া যাক শরীরে জ্বিন থাকলে জাগ্রত অবস্থায় কি কি সমস্যা হতে পারে। 👉 জাগ্রত অবস্থার লক্ষণসমূহ— (১) দীর্ঘক্ষন মাথাব্যথা এবং প্রচন্ড ব্যাকপেইন, পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা, বিকেল অথবা সন্ধ্যার পর থেকে হাত পা জালাপোড়া বা অস্থিরতা শুরু হ‌ওয়া। (২) ইবাদত বিমুখতা- সালাত,যিকির, তিলাওয়াতে অলসতা এবং উদাসীন হয়ে যাওয়া। (৩) অল্পতেই প্রচন্ড রেগে যাওয়া। (৪) হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া বা এলার্জি বেড়ে যাওয়া এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হওয়া। (৫) মৃগীরোগ। (৬) শরীরের একাধিক স্থানে ব্যথা দৌড়াদৌড়ি করা, কিংবা কোন অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া যাওয়া, যা সাধারণত ডাক্তারি চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে না এবং মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোন কিছু ধরা পড়ছে না। (৭) একা একা কথা বলা আবার অনেক সময় ভিন্ন ভাষায় কথা বলা, যে ভাষায় কথা বলতে সে অভ্যস্ত নয়। (৮) নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ঘোরাফেরা করা। (৯) প্রায়ই অদ্ভুত আওয়াজ, কেউ নাম ধরে ডাকছে ইত্যাদি শুনতে পাওয়া। যা অন্য কেউ শুনতে পায় না। (১০) মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভালো লাগেনা ফলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে। (১১) হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই নাস্তিক টাইপের কথা বলা। (১২) প্রায় সময় মনে হয় কেউ একজন ফলো করছে অথবা পিছনে পিছনে হাঁটছে। (১৩) অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া, যেমন-এক মাসে দুইবার হওয়া আবার অনেকের দুই মাসেও একবার হয় না। (১৪) প্রায় সময় ঘুম থেকে উঠার পর কোন কারণ ছাড়াই লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব হওয়া। ১৫/ চিন্তা ও মননে দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা ও আতঙ্কভাব বিরাজ করা এবং অকারণে অতিরিক্ত ভয় পাওয়া। *****এখন অনেকেই বলবেন এগুলো মানুসিক চাপ এবং মানুসিক সমস্যা জন্য হতে পারে বা এগুলো ডাক্তারী সমস্যা। আর ডাক্তারী সমস্যা গুলি শরীরে জ্বিন থাকা সমস্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন কথা বা ধারণা অনেকি বলেন বা করে থাকে। তাদের উদ্যেশ্যে এক‌টি কথা এখানে কিন্তু সবাইকে বলা হচ্ছে না এটা আপনার মনে করতে হবে। আর ডাক্তারের চিকিৎসা বলেন? ডাক্তারের চিকিৎসা সব প্রকার রুগের কিন্তু সিমটম রয়েছে!! এবং সে রুগ নির্নয় করার জন্য ভিন্ন ল্যাবে টেস্ট রয়েছে। অতএব রুকইয়াহ ক্ষেত্রেও একি। প্রশ্ন করতে পারেন রুকইয়াহ ক্ষেত্রে কিভাবে এগুলো নির্ণয় করবেন। নিচের আয়াত গুলি পাঠ করুন তাহলে উল্লেখিত সিমটম গুলি আপনার মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিবেন আপনি জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত। বা অডিও শুনতে পারেন এই সকল আয়াত এবং সুরা গুলির। এইসব সুরা এবং আয়াত গুলি নিজের মাথায় হাত রেখে পাঠ করুন অথবা আয়াত এবং সুরা গুলু একত্রে অডিও শুনুন। তাহলে আপনি আপনার সমস্যা বুঝতে পারবেন। যা পড়বেন বা শুনবেন। ১. সুরা ফাতিহাহ। ২. সুরা বাকারা ১-৫। ৩. সুরা বাকারাহ ১০২। ৪. সুরা বাকারাহ ১৬৩-১৬৪। ৫. সুরা বাকারাহ ২৫৫। ৬. সুরা বাকারাহ ২৮৫-২৮৬। ৭. সুরা আলে ইমরান ১৮-১৯। ৮. সুরা আ'রাফ ৫৪-৫৬। ৯. সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২। ১০. সুরা ইউনুস ৮১-৮২। ১১. সুরা ত্বহা ৬৯। ১২. সুরা মু'মিনুন ১১৫-১১৮। ১৩. সুরা সফফাত ১-১০। ১৪. সুরা আহকাফ ২৯-৩২। ১৫. সুরা আর-রাহমান ৩৩-৩৬। ১৬. সুরা হাশর ২১-২৪। ১৭. সুরা জিন ১-৯। ১৮. সুরা ইখলাস। ১৯. সুরা ফালাক। ২০. সুরা নাস। আয়াত পাঠ কিংবা অডিও শোনার সময় যে যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে আপনার মাঝে। যা পুর্বে ছিল না। যেমনঃ প্রচন্ড মাথা ব্যথা, শরীরের জ্বলাপুরা, পেটে ব্যথা, বুক ধরফর করা, ঘুম আসা,বমি বমি ভাব, হাত বা পায়ের আঙ্গুল বাকা হতে দেখা, পিঁপড়ের মতো শরীরে কিছু চলাফেরা করে অনুভব করা, শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া, হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, মেরুদন্ডে ব্যথা, এলার্জি মতো শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যাওয়া, কান দিয়ে গরম বাতাস নির্গত হচ্ছে অনুভব হওয়া,পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে অনুভব হওয়া, শরীর কেউ নাড়াচাড়া করছে অনুভব হওয়া, বুকে/বুকের কোনো এক সাইডে/বুকের মাঝখানে ব্যাথা করা।শরীরে/কোমরে/পায়ে সামান্য বা প্রচন্ড ব্যাথা,পেটে (বা অন্য যেকোনো অঙ্গে) প্রচন্ড ব্যাথা,অস্বাভাবিক গরম বা ঠান্ডা লাগা,শরীর,কান, মুখ ,মাথা দিয়ে গরম বা আগুন বের হওয়া।পেটের ভিতর শক্ত কিছু অনুভব হওয়া শরীর, ঘাড়, মাথা ওজন বা ভার ভার লাগা, শ্বাস কষ্ট হওয়া, মুখ তেতো লাগা, কফ বের হওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে আসা,নিজের অজান্তে বা অনিচ্ছায় বারবার পা নাড়াচাড়া করা, কেঁপে উঠা ,ঝাকি দেওয়া। সামান্য বা প্রচন্ড জ্বর সর্দি অনুভূত হওয়া ইত্যাদি। তবেই আপনি মনে করে নিবেন আপনি জ্বিন বা যাদুগ্রস্ত তখনই আপনি আপনার রুকইয়া করুন।

No comments

Theme images by hdoddema. Powered by Blogger.